আব্দুর রহিম রানা ||
যশোরের মনিরমপুরে রূহানী চার্চের উদ্যোগে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন পালন করেছে উক্ত ধর্মানুসারিরা। বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর সোমবার সকালে পাড়ালা রূহানী চার্চ এন্ড স্কুল চত্বরে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় গান, কীর্তন, ক্রীড়া ও সসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ এবং ২০ পাউন্ড ওজনের বিশাল কেক কাটাসহ অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে পরমানন্দে দিনটি উদযাপন করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক আব্বাস উদ্দীন, বি,এম,ডব্লিউ এর যশোর জেলা কো-অর্ডিনেটর রিমি বিশ্বাস, ইউপি সদস্য সেলিম আকতার, মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন, মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচছাসেবকলীগ আহ্বায়ক অরবিন্দু হাজরা, সেলিম রেজা, সন্জয় সাহা, শহিদুজ্জামান শহিদ , মোস্তাফিজুর রহমান, এস আই শাহীন প্রমুখ । বড়দিন সম্পর্কীয় বাইবেল বিভাজন করেন পাস্টর আলফ্রেড রায় ও আফতাব উদ্দিন লায়ন। চার্চের জাতীয় পরিচালক রেভাঃ জেমস্ আব্দুর রহিম রানা বলেন “আজ থেকে ২ হাজার বছর পূর্বে পাপাচারে লিপ্ত মানবজাতির মুক্তির জন্য যিশু এ ধরাধমে এসেছিলেন। আজ আমরা সকল মানবজাতির সুখ- সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনায় যিশুকে স্মরণ করার মাধ্যমে বড়দিন পালন করছি।
বড়দিনের তাৎপর্য উল্লেখপূর্বক তিনি আরো বলেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মাতা মরিয়ম । ধর্ম বিশ্বাস বলে, ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মরিয়ম কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের ইঙ্গিতে সেই শিশুটির নাম রাখা হয় যিশু যা ইতিহাসে যিশু খ্রিষ্ট নামে অভিহিত। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।